1. নির্বাণ
তর্জনী শুষে নিচ্ছে আগুন
বিগলিত ঘুমে
জ্বলে উঠছে অজস্র চোখ
প্রতিটি চুল্লীতে
জন্ম নিচ্ছে বিকল্প শববাহক।

2. দ্বিতীয় বার পোড়ার আগে
যে-সন্ধ্যা গিলে খায়
বিদগ্ধ মাকড়সা
তার ভস্মে ঘি ঢেলে বলো
নাভি পোড়ে নি
নাভি পোড়ে না
নীল আঙুল বিগলিত হয়
জ্বলে ওঠে তুষারমানব
শ্মশান চিনেছে তার লগ্ন
নাভি পোড়ে নি
নাভি পোড়ে না
ভেসে ওঠো বেহায়া চুল্লী
প্রজ্জ্বলিত হও অস্থিমজ্জাসার
সমবেত পেট্রল গিলে
যেটুকু জীবাশ্ম বেঁচে থাকে
দিগন্তের গলা চিরে
যেটুকু আগুন পারো আনো
সহস্র মুখাগ্নি শেষে
হিমবাহ বুকে রেখে বলো
নাভি পোড়ে নি
নাভি পোড়ে না।
3. স্বাহা; অথবা, পরস্ত্রীদের জন্য
আগুন, এখন আগুনের সাথে শুচ্ছি
হাতড়েছি তল, অতল পাবার চেষ্টা
সাজিয়েছ কাঠ, পিচ ঢেলে দাও গর্ভে
ঘুমোনোর আগে একবার জ্বলি শেষটা
আমার তো শুনি ময়াল সাপের চামড়া
ঘেমেছ তুমিই, বাষ্পে দেওয়াল স্তব্ধ
আর দু পা গেলে মানুষ হবার ইচ্ছেয়
সাপকে খেলিয়ে বাঁশিওয়ালা গোনে শব্দ
কফিনেই পাবে পরস্ত্রীদের বাঙ্কার
সমুদ্র পেলে কেউ করে দেবে ঢেউ সই
কাচের গেলাসে ঘর শুকোনোর রোদ্দুর
ফেনা ওঠা শেষ, আমি তো আসলে কেউ নই
চুল্লী খুলেছে ঘোরানো হাতের সঙ্গে
সিঁড়ি নেমে গেছে, আছি বেশ আছি রঙ্গে…
-Arkoprobho Roychowdhury