1. জাহান্নাম
মাটির নীচে দু’হাত বিকেল। কৃষ্ণচূড়ায় লেপ্টে ঘাম।
পা রেখেছি পাতালরেলে। তোমার বাড়ি জাহান্নাম।
হয়ত যেত অন্য মানুষ। হয়ত হত অন্য শেষ।
সন্ধ্যে নিত অন্য জীবন। রাত্রি হত অন্য দেশ..
কীংবা তুমি মৃত্যুমুখী। তোমার কফিন অন্ধকার।
কী বোঝাবে সন্ধ্যে তাকে মৃত্যুযোগে জন্ম যার..
কিন্তু খসে পলেস্তারা। ফাটল ধরায় বিধির বাম।
সন্ধ্যে নামে পাতালরেলে। তোমার বাড়ি জাহান্নাম।
জলপ্রপাত থাকলে হতো। শ্যাওলা পাথর, অন্য ভয়..
জলের হদিস থাকলে কী আর উৎস থেকে ফিরতে হয়?
প্রশ্ন শুনে চমকে উঠি। কোথায় গেল পুতুলনাচ?
ঘরের মানুষ ফিরছে ঘরে। আয়না একই। অন্য কাচ..
পায়ের নীচে খেলছে তড়িৎ। বাদবাকি সব মর্ষকাম।
রাত্রি ফেরে পাতালরেলে। তোমার বাড়ি জাহান্নাম।
2. অশ্বমেধ
ভীষণ মাতাল সিঁড়ি, ষোলোর পায়ে পা, ক্লাউড নাইনে ঢিল, শূন্যে চোট
নেহাত অবাধ্যই, কে কাকে টানছে, কার কাঁটায় কার ঠাসবুনোট
তুমুল তর্ক শেষে আবার লাইনে পা, ক্লান্ত চৌকাঠে অন্য মত
দরজা দেওয়ার আগে এক ঝলক ফের, জুতোর মনে থাক কক্ষপথ
খোলস নামিয়ে রেখে শরীর স্নানের ঘরে, তৃতীয় সন্ধ্যার সূর্য ম্লান
আগুন জ্বালতে চেয়ে জেহাদী দেশলাই, তবুও ভিজে যাক অগ্নিবাণ
জমানা বসে যাক প্রবল বর্ষণে, বাষ্পে জমা থাক লক্ষ্যভেদ
একুশ জন্ম নিক ষোলোর মরশুমে, দেওয়াল চিনে নিক অশ্বমেধ!
3. আরামদিন
চিবোও কাকা শহর চিবোও
তিতকুটে এক চিউয়িংগাম
ভাল্লাগে না সন্ধ্ব্যবেলা
আঁতেলপনার সংঘারাম
নাগরদোলায় ঊর্ধ্বে চলো
পায়ের তলায় মুব্ধ ভিড়
বৃন্দাবনের পাহারাদার
ধরণধারণ বিপ্লবীর
বৃষ্টি-কাঁটায় শরীর ভেজাও
গলায় নরম উষ্ণতা
আদর দিয়েই হিসেব হতো
জুতোর মালা অন্যথা
রং লেগে যায় চোখ-মণিতে
হাতের আঙুল নপুংসক
তেমন হলে জলকেলিতে
ভিজিয়ে নিও গোপন ত্বক
খামখেয়ালি জীবনযাপন
মন্দ তো নয় কি চার্মিং
শহর চিবোও কফির সাথে
আজকে তোমার আরামদিন
আমার হাতে ধোঁয়ার কাঠি
জাগলে নাকি? চুমুক চাই?
যে যাই বলুক, আমরা জানি
শ্যামের বুকে ক’জন রাই!