- নদীমাতৃক সংসারে নদী ছাড়া সবটাই প্রিয়
তীরে দু’আঁচল ঢেউ ভাঙে
ঘাটে বসে মানুষগুলোর পিপাসা চিরন্তন।
নদী মাতৃক সংসার বয়ে চলে…
হাওয়া নেই।
ছেঁড়া পাল সম্বল
এ’জলে পা ভেজালে বুক পর্যন্ত কাদা উঠে আসে।
ওপারে থেকেও যাদের ঘর ভাসেনি
বন্যায় এপারে তাদের অবাধ যাতায়াত
তারা ভাঙন দেখেছে,
নুড়ি-পলি বুকে জড়িয়ে বর্ষা পেরিয়ে এসে
তবু নদীকে ছাড়েনি…
ভেজা কাপড় কেবল একটু একটু করে শরীরে জড়িয়ে গ্যাছে।
এপারে চোরাস্ত্রোত — নদী সব হারিয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি।
পা ভেজালে মিশে যাওয়া যায়। অতলে, অনলে…
এপারে ছাই দিয়ে ভাত বারে গৃহিণী গণিকা
এপারে ভালোবাসলে মন্দিরকে শ্মশান আর শ্মশানকে আদরঘর ভেবে ভুল হয়
এপারে তুমি শোকের কথা বলো,
গলা বুজে আসা হাহাকার…
সে সুর আনে নোনাজল,
তারপর মাঝবরাবর তাকালে
নদীকে চিরকাল মাতৃরূপী মনে হয়
নদীমাতৃক সংসারে নদীদের নাম নেই।
হওয়া নেই। ছেঁড়া পাল সম্বল…
নদীমাতৃক সংসার বয়ে চলে…
বহমানতার আদিম নেশায়।
2.
তুমি আলো চাও, জল চাও
হাতে বোনা ফুলের মতো বাগান ছেড়ে যেতে চাও।
আমাদের আর কথা হয়না।
ভুল বাজার দিয়েই দু’হাতা রেঁধে আমি দরজায় বসে থাকি
থালায় চুল পড়ে,
কবিতারা আমার সংসার ভেঙে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
3.
কবিতার পাতেই ভাত বেড়ে রাখি।
খেয়ে উঠে হাত মুছতে মুছতে খাটে উঠে বসি
পরের দিনের ফর্দ লিখি-
দুটো আলো, একটা চিরুনি, ভেজা রুমাল…
মাছের বাজার ছেড়ে রেললাইন ধরে এগোতে থাকে রাতপিওন
রাতের পোশাকে গিঁট বাঁধতে বাঁধতে তোমার দরজায় এসে দাঁড়াই
মাঝরাতে হঠাৎ ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে কবিতারা
আমিই নাকি তোমার সঙ্গে তাদের ঘর ভেঙেছি।
Subarnika Bhattacharya completed her Master’s in English Literature from the University of Calcutta and has been writing poetry for some time now. Her poems deal with the solitude that so characterizes urban existence. Her keen sense of observation and awareness of lives around her, can be found in the weaving of images and metaphors that give her poems a distinct and original voice.
Brilliant.
LikeLike
Thank you so much Sir.
LikeLike